বার্তা বিভাগ ১৭ এপ্রিল ২০২৫ , ৬:৪২ অপরাহ্ণ ই-পিন্ট / ইপেপার
নিজস্বপ্রতিনিধিঃ আনোয়ার হোসেন। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেমিকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুজন চৌধুরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনরতদের হুমকি দেওয়া এবং বিভাগীয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসেরও অভিযোগ আছে।
গতকাল বুধবার (১৬ই এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে সুজন চৌধুরীকে বরখাস্ত করা হয়।
চট্টগ্রামের বাসিন্দা এক নারীর অভিযোগ, ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর ড. সুজন চৌধুরীর দ্বারা নিজের বাসাতে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হন তিনি। এরপর ভুক্তভোগী ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৫ই এপ্রিল যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ দিলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ড. সুজন চৌধুরীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, ‘আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ আসে। যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন। ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সুপারিশে তাকে (সুজন চৌধুরীকে) সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী নারী উল্লেখ করেছেন, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর তিনি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ সুজন চৌধুরীর কাছ থেকে অর্থ নিয়ে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করে এবং আদালতে যেতে পরামর্শ দেয়। পরে তিনি চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস-কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি করার অভিযোগ থাকলেও ক্ষমতার কারণে মুখ খোলেনি কোন ভুক্তভোগী।
উক্ত মামলার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুজন চৌধুরীকে কয়েক দফায় ডাকা হলেও তিনি বিভিন্ন অজুহাতে এড়িয়ে যান এবং ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকি দেন। বর্তমানে ড. সুজন চৌধুরী বাদীকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
সব অভিযোগ অস্বীকার করে ড. সুজন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমাকে ব্ল্যাকমেলই করে টাকা দাবি করছেন ওই নারী। আনীত অভিযোগ মিথ্যা।