বার্তা বিভাগ ১৩ এপ্রিল ২০২৫ , ৭:০০ অপরাহ্ণ ই-পিন্ট / ইপেপার
নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি মসজিদ এলাকায় এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা না পাওয়ায় বেধরক মারধর করে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রাসী সুলতান মাহমুদ ও মাদকাসক্ত সাহাবুদ্দিন। মারধর করেই ক্ষান্ত হয়নি, অব্যাহত হত্যার হুমকী ও মিথ্যা মামলায় হয়রানী করায় আহত আকরাম হোসেন বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে ১২ এপ্রিল একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, চিহ্নিত অপরাধীরা টুপি ব্যবসায়ী আকরামের কাছ থেকে ২,১০,০০০ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গত বছর জুলাই মাসের দুই তারিখে রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠিসোটা ও ছুরি দিয়ে দেশীয় অস্ত্রসজ্জে সজ্জিত হয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে আকরামকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। এতে আকরামের মুখমন্ডলের বামদিক এবং বাম চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এসময় ব্যবসায়ীক হিসাবের খাতা ছিনিয়ে নেয় এবং খাতায় একটি অলিখিত ইসলামি ব্যাংকের চেকের পাতা ছিল যাহা সুলতান ও সাহাবুদ্দিন ছিনিয়ে নিয়ে আর ফিরিয়ে দেয়নি। পরবর্তীতে আহত ব্যক্তির ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে অপরাধীরা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় হুমকী দিয়ে বলে যায় চাঁদা না দিলে আকরামের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানী করবে। উক্ত ঘটনায় আহত হয়ে আশেপাশের লোকজনের সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ভুক্তভোগী নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করে। কিন্তু পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
বর্তমানে আহত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যরা সুলতান গংয়ের অব্যাহত হুমকী ও মিথ্যা মামলা মোকদ্দমার হয়রানীর শিকার হয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এছাড়াও মোবাইল, ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াট্সএ্যাপে আসামীরা হুমকী দিয়েই যাচ্ছে। যারফলে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের স্মরনাপন্ন হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী আকরাম। প্রয়োজনে থানা ও আদালতে খারাপ প্রকৃতির লোক সুলতান ও সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে নিরীহ আকরাম হোসেন।