রাজনীতি

২৩ দলের নিবন্ধন বাতিলসহ সংস্কার ও সময় চায় এনডিবি

  বার্তা বিভাগ ১৭ এপ্রিল ২০২৫ , ৬:৪৬ অপরাহ্ণ ই-পিন্ট / ইপেপার

দল নিবন্ধন আবেদনের সময় বৃদ্ধি. ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় নিবন্ধিত ২৩ দলের নিবন্ধন বাতিল এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ. এম. এম. নাসির উদ্দিন-এর পক্ষ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন তাঁর একান্ত সচিব মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে ১৭ এপ্রিল দুপুর ২ টায় প্রদানকৃত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- ‘স্বজনপ্রীতি-ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠার পথ ধরে কোনো শর্ত পূরণ না করেও ফ্যাসিস্ট সরকারের অবৈধতা বৈধতা দেয়ানোর লক্ষ্যে নিবন্ধন পায় ২৩ টি রাজনৈতিক দল। বিশেষ করে- ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বিএনএফ, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাপ, মুক্তিজোট, তৃণমূল বিএনপি, বাসদ, গণফ্রন্ট, গণফোরাম, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ, ওয়াকার্স পার্টি, জাসদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, কল্যাণ পার্টি, বিএনএম, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টকে নিবন্ধন দিয়ে অবৈধ নির্বাচনগুলোকে বৈধ করে নিয়েছে অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার। এরমধ্যে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আপনার সুনেতৃত্বে গঠিত হয়েছে নতুন নির্বাচন কমিশন। মাত্র ১ মাসের নোটিশে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন চেয়ে আপনারা বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছেন। বরেণ্য সমাজচিন্তক ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বাধিন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় বলেছেন- ‘১০ শতাংশ জেলা এবং ৫ শতাংশ উপজেলা বা থানায় দলের অফিস এবং ন্যূনতম ৫ হাজার সদস্য থাকার বিধান করা। প্রতি ৫ বছর পর পর দলের নিবন্ধন নবায়ন বাধ্যতামূলক করা। দলের লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র, শিক্ষক ও শ্রমিক সংগঠন, ভাতৃপ্রতীম বা যেকোনও নামেই হোক না কেন, না থাকার বিধান করা। পর পর দুটি নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান বাতিল করা।’ সেই অনুযায়ী নতুন শর্ত ও সময় বৃদ্ধি করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং উল্লেখিত ২৩ রাজনৈতিক দল নামক অবৈধ সরকারকে বৈধতা প্রদানকারী দলগুলোর নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছি। যদি এই দাবিগুলো আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে মেনে নেয়া না হয়. নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সামনেই অবস্থান ধর্মঘটসহ ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।

নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির পক্ষ থেকে প্রদানকৃত স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে- অপরাধ-দুর্নীতি-খুন-গুম বন্ধের পাশাপাশি সুশিক্ষা-সুসমাজ-ধর্ম-মানবতা ও সভ্যতার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর আত্মপ্রকাশ করেছে ছাত্র-যুব-জনতার রাজনৈতিক মেলবন্ধন নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি। এরপর ২০১৭ এবং ২০২২ সালে সকল শর্তপূরণ করে নিবন্ধনের আবেদন করেছিলো কিন্তু ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে অবস্থানের কারণে নিবন্ধন না দিয়ে নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির নেতাকর্মীদের উপর জেল-জুলুম এমনকি গুমের মত জঘণ্য নিপীড়ন চাপিয়ে দেয় ফ্যাসিস্ট সরকারের বিভিন্ন বাহিনী। নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি বাংলাদেশের জনগণের কথা ভেবে বরাবর রাজপথে থেকেছে ছাত্র-যুব-জনতার দাবি বাস্তবায়ন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রত্যয়ে। ইতমধ্যে নতুনধারার চেয়্রাম্যান মোমিন মেহেদীকে ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ ঘুম করে নির্যাতন চালায় এবং মৃত মনে করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। ২১ দিন চিকিৎসাধিন থাকার পর তিনি সুস্থ্য হয়ে ওঠেন। এছাড়াও শত শত নিপীড়নের ঘটনায় জর্জরিত হয়েছেন নতুনধারার নেতৃবৃন্দ।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন নতুনধারার ভাইস চেয়ারম্যান ডা. নূরজাহান নীরা, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা প্রমুখ।

আরও খবর:

Sponsered content